ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

শিক্ষা

সব বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর কথা বললেন মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৫৩, মার্চ ৮, ২০১৮
সব বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর কথা বললেন মন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আগামী এক মাসের মধ্যে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ চালুর আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। তিনি বলেন, বাচ্চাদের স্কুলে ধরে রাখতে প্রতিটি স্কুলে মিড ডে মিল চালু করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) মিরপুর ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যোগাযোগ ও সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী একথা বলেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

 

বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক রমজান আলী প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের শতভাগ পাস বের হচ্ছে, বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে। এজন্য শিক্ষা কর্মকর্তাদের দরদ দিয়ে হৃদয়ে ধারণ করে কাজ করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অল্প কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তার গাফিলতিতে আমাদের অর্জন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাচ্ছে না। অনেক শিক্ষা অফিসার মাঠে না গিয়েই রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাচ্ছেন। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।

তিনি বলেন, বাচ্চাদের স্কুলে ধরে রাখতে দুপুরের খাবার বাসা থেকে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মায়েদের বোঝাতে হবে আপনি বাসায় যে খাবারটা দিতেন সেটাই টিফিন বক্সে করে বাচ্চার জন্য পাঠান। এটা করতে পারলে বাচ্চারা আর অপুষ্টিতে ভুগবে না।  

‘আর কালক্ষেপণ নয়। এক মাসের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করতে হবে। ’

এসময় শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা শুনতে চাইলে সবাই  হাত তুলে সম্মত হন যে আগামী এক মাসের মধ্যে মিড ডে মিল চালু করবেন।

সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান বলেন, অনেক থানা শিক্ষা অফিসার আছেন, যারা বছরে বা ছয় মাসেও একবার স্কুল ভিজিট করছেন না। এবার আর ক্ষমা নয়, আমি ভিজিট করে প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন। আমাদের মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণেই মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে কথা উঠছে। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে।

কর্মশালায় ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।