ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

শিক্ষা

শিখন প্রক্রিয়ার কারণে ‘নীরবে’ ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫৪, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
শিখন প্রক্রিয়ার কারণে ‘নীরবে’ ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শিশুর সংখ্যা গত আট বছরে বেড়েছে ২৬ শতাংশ। প্রাথমিক সমাপনী শেষ করা শিক্ষার্থীর হার ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ।

শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমলেও অনেক শিক্ষার্থী ‘নীরবে ঝরে পড়ছে’।
 
ইউনেস্কো পরিচালতি ‘সবার জন্য শিক্ষা’ জাতীয় পর্যালোচনা বাংলাদেশ-২০১৫ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
 
রোববার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর পলাশীতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিট ভর্তির হার বেড়েছে ১০ দশমিক ১ শতাংশ। ভর্তির হার ৮৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
 
প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সম্পন্ন করা শিশুর সংখ্যা ২০০৫ সালের ৫২ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৩ সালে হয়েছে ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ।   
 
২০০৫ সালে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১৩ সালে অর্ধেক কমে তা হয়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
 
মানদণ্ড অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ হিসাবে বলা হয়, শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিরবে বাদ পড়ছে।
২০১৩ সালে ৭৮ লাখ শিশু স্কুলে ভর্তি ও নিয়মিত উপস্থিত হয়ে উপবৃত্তি গ্রহণ করেছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
 
জুররি ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ এবং যারা ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের নির্দেশনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রদানের সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
 
প্রতিবেদনের ফলাফল ও সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতাও আছে, সাফল্যও আছে। আমরা যুগান্তকারী পরিবর্তন অর্জন করেছি। এখন আগামী দিনের লক্ষ্য, গুণগত মান অর্জন করা।
 
গুণমত মান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
অনুষ্ঠানে সবার জন্য শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল মনিটরিং প্রতিবেদনও তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ প্রেক্ষিত নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফাইজুল কবির।
 
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাউল আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর সচিব মঞ্জুর হোসেন, সংস্থার হেড অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টিভ বিয়েট্রিস, শিক্ষাবিদ তালাত মাহমুদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।