ঢাকা, রবিবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোহাম্মদ ট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে ৩৯ কোটির ভ্যাট ফাঁকির মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৪, জুলাই ৫, ২০২১
মোহাম্মদ ট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে ৩৯ কোটির ভ্যাট ফাঁকির মামলা

ঢাকা: টাইলস বিপণন প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

সোমবার (৫ জুলাই) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সংস্থাটির উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদ অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ লিমিটেড ও স্টার সিরামিক লিমিটেডের কাছ থেকে বিভিন্ন সাইজের টাইলস এবং স্যানিটারি আইটেম কিনে তা স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে।

প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভ্যাটযোগ্য সেবার বিপরীতে প্রযোজ্য রাজস্ব যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ও সঠিক বিক্রয় তথ্য গোপন করে ঘোষণা বহির্ভূত স্থানে মূসক সংক্রান্ত দলিলাদি সংরক্ষণ করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছে। সরকারের আর্থিক ক্ষতিও করেছে। এমন একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল গত ৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন বহির্ভূত স্থানে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে।  

এতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট সংক্রান্ত মূল দলিলপত্র মোড়কজাত করে এগুলো ধ্বংস করার জন্য ওই স্থানে স্তূপ করা হয়েছিল। অভিযানে জানা যায়, ভ্যাট গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় থেকে এগুলো গোপনে ধ্বংস করার জন্য সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন, দাখিলপত্র (মূসক-১৯) এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান জমা করা ট্রেজারি চালানের কপি ও অন্য দলিলাদি থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত আড়াআড়ি যাচাই করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। তদন্তের মেয়াদ ছিল জানুয়ারি ২০১৮ থেকে এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত।

প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্ণিত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৭ টাকা এবং সুদ বাবদ ১১ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৬ টাকাসহ ৩৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৪ টাকা পরিহারের তথ্য উদঘাটিত হয়।

তদন্তে আরো দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্যসহ নানা ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে, যা ভ্যাট আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  

ভ্যাট আইনে আজ এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

তদন্তে উদঘাটিত পরিহার করা ভ্যাট আদায়ের আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনটি ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারটে পাঠানো হয়েছে।

একই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দা এর আগে ১২৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির ভিন্ন একটি মামলা দায়ের করেছিল যা বর্তমানে বিচারিক প্রক্রিয়ায় চলমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২১
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।