ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

কর্মবিরতিতে মংলা বন্দরে স্থবিরতা, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৪, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
কর্মবিরতিতে মংলা বন্দরে স্থবিরতা, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা ছবি: ফাইল ছবি

বাগেরহাট: টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো চলছে নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতি। ফলে মংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিতে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।

এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে বুধবার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে নৌ শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যায়। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও দবি আদায়ে অনঢ় পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা। ফলে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) থেকে পণ্য খালাস ও নদী পথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাস ও পরিবহন বন্ধ থাকায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি মুখে পড়েছে আমদানিকারক-ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন মংলা শাখার কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অতীতে শ্রমিকদের এ দাবি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হলেও তার কোনটিই কার্যকর করা হয়নি। আমাদের দাবি গুলোর বিষয়ে সরকার ও মালিক পক্ষ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়নের কথা বললেও ১০ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি ‘সুনির্দিষ্ট’ ঘোষণা ছাড়া তারা কাজে ফিরবেন না।

কর্মবিরতির কারণে লাইটারেজ, কার্গো, বার্জ, অয়েল ট্যাংকার, কোস্টারসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মংলা বন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) কাজী মোক্তাদির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে মংলা বন্দরে গ্যাস, ক্লিংকার, মেশিনারিজ ও কয়লাবাহী ছয়টি মাদার ভ্যাসেল (জাহাজ) অবস্থান করছে। নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস না হওয়ায় আমদানিকারকে জাহাজ ভাড়া বাবদ প্রতিদিন ৫ হাজার ডলার করে অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে। এত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে তারা।

এছাড়া আমদানিকৃত পণ্য নৌ পথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহনও হচ্ছেনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।