ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

সাক্ষাৎকার: আবদুল হাই সরকার

দুর্বল ব্যাংক ঠিক করতে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত

সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন |
আপডেট: ০৮:২৩, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫
দুর্বল ব্যাংক ঠিক করতে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত

বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার বলেছেন, যেসব ব্যাংক দুর্বল হয়ে গেছে, আমানত ফেরত দিতে পারছে না সেগুলোকে আগে ঠিক করা উচিত। তারপর ভালো ব্যাংক।

যদি সব ব্যাংকে হাত দিতে হয়, তাহলে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করে নেওয়া উচিত। এতে ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে যাবে। সেটা না করে ভালো-মন্দ একসঙ্গে সংস্কার করতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ সফল নাও হতে পারে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবদুল হাই বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রুপকে ব্যাংকের লাইসেন্স এবং                 মালিকানা দেওয়ার কারণেই ব্যাংক খাতের সমস্যা শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংক সমস্যায় পড়েছে। বাকিগুলো ভালো চললেও বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে এক করে বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের লাইসেন্স ও মালিকানা দেওয়ায় সমস্যা শুরু হয়েছে ফেলছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রস্তাবিত আইনে বেসরকারি ব্যাংকের যেসব পরিচালক ছয় বছর ধরে পর্ষদে আছেন তারা বাদ পড়বেন, একই সঙ্গে একই পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না। আবার স্বতন্ত্র পরিচালক হবে পর্ষদ সদস্যদের অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ, এদের নিয়োগ দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্যানেল থেকে।

এ বিষয়ে আবদুল হাই বলেন, এরকম হলে তো আর বেসরকারি ব্যাংকের দরকারই নেই। সরকার সব ব্যাংক সরকারীকরণ করলেই পারে।

তিনি আরও বলেন, ভালো ব্যাংকগুলো আগে থেকেই ভালো করছে। যেসব ব্যাংক রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে সেগুলোই সমস্যায় পড়েছে। কারণ ওই ব্যাংকগুলোর টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এমন ৬-৭টি ব্যাংক আগে সংস্কার করা প্রয়োজন।

বিএবির চেয়ারম্যান বলেন, বেসরকারি ব্যাংক তো সবসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া নিয়মের মধ্যেই চলছে। অনেক বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। দু-একটি ব্যাংকে বড়জোর ১৫ শতাংশ। এগুলোতে কেন ৫০ শতাংশ স্বতন্ত্র পরিচালক দিতে হবে? যদি এটা করতে হয়, তাহলে বেসরকারি খাতে ব্যাংক দেওয়ার কি দরকার ছিল?

আবদুল হাই বলেন, যেসব বেসরকারি ব্যাংক ভালো চলছে সেগুলোতে হাত দেওয়া উচিত হবে না। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে একটা গোলমাল লেগে যাবে। যেসব ব্যাংক সমস্যায় আছে, সেগুলোকে ধরতে তো আমাদের আপত্তি নেই। যেসব ব্যাংক খুঁড়িয়ে চলছে, সেগুলোকে আগে উদ্ধার করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে ৩০ বছর ধরে। আমানতকারীরা টাকা রাখছে, আমরা বিনিয়োগ করছি। সবই ঠিকমতো চলছে। এগুলো নিয়ে মাথাব্যথার দরকার কী। ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে আমাদের বাদ দিয়ে নতুন পরিচালক নিয়ে এলেই কি ব্যাংক ভালো চলবে?

এনডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।