‘শূন্য রিটার্ন’ জমা দেওয়া করদাতার পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
রোববার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: আল আমিন শেখের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিলবিষয়ক কতিপয় ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত পোস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে।
এসব পোস্টে রিটার্ন পূরণের সবকয়টি ঘর ‘শূন্য’ হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায় মর্মে প্রচার করা হচ্ছে। এসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনো কোনো করদাতা তাদের আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা দিয়ে আসছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় না দেখিয়ে এর কোনো একটি শূন্য অথবা সব কটি তথ্য শূন্য হিসেবে দেখানো সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ।
করদাতার জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নে তার আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য না দেখিয়ে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে বর্তমান আয়কর আইনের ৩১২ ও ৩১৩ ধারা অনুসারে করদাতাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আয়কর আইন অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেন। সেখানে সারা বছরের আয়-ব্যয়ের তথ্য দিতে হয়।
জেডএ/আরএইচ