ঢাকা, রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২, ২২ জুন ২০২৫, ২৫ জিলহজ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেটে ঘাটতি কমাতে কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে: সিপিডি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৭, জুন ২২, ২০২৫
বাজেটে ঘাটতি কমাতে কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে: সিপিডি সিপিডি

ঢাকা: বাজেটে এবারও ঘাটতি রয়েছে। আর ঘাটতি মেটাতে আবারও ব্যাংকিং খাতের দ্বারস্থ হতে হবে।

এতে বেসরকারি খাতের ঋণে টান পড়ে। বাজেটে ঘাটতি কমাতে কাঠামোগত সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

রোববার (২২ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিয়ে আয়োজিত সংলাপে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ কথা বলেন।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে না। কেন সেটা পারে না, কারণ সেখানে কোন কাঠামোগত বা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হয়নি। সংস্কার ছাড়া এ ধরনের কাঠামো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে রেখে এ ধরনের ঘাটতি চলতেই থাকবে।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোর যেসব প্রক্ষেপণ দেওয়া হয়েছে সেগুলো উচ্চাকাঙ্ক্ষী মনে হয়েছে। অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচক নিম্নমুখী। এর মধ্যে রপ্তানি, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, এইগুলো ভালোর দিকে আছে। টাকার সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগে একেবারে স্থবিরতা রয়েছে। রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থতা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না।

উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রক্ষেপণ প্রসঙ্গে ফাহমিদা খাতুন বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২০২৫-২৬ এর জন্য সাড়ে ৫ শতাংশ বলা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে রিভাইজড বাজেটে এটা ছিল পাঁচ শতাংশ। অন্যদিকে বিবিএস বলেছে চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি। চার শতাংশ থেকে সাড়ে পাঁচ শতাংশ করতে গেলে বেশ কিছুটা উল্লম্ফন দরকার। এই প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার বিনিয়োগ।

অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবার বাজেটে ঘোষণার পর যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়নি, এর কারণে জনগণ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মতামত নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছানো যায়নি।

তিনি বলেন, আমার কাছে মূল বিষয় হচ্ছে রাজস্ব আয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রত্যক্ষ আয় বেশি, পরোক্ষ আয় কম। কিন্তু আমাদের দেশে উলটো আমাদের পরোক্ষ কর যা মূলত সাধারণ জনগণের ওপর পরে সেটা বেশি। আমাদের রাজস্ব আয়ের দুই তৃতীয়াংশ হচ্ছে পরোক্ষ কর। এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর। কিন্তু বাজেটের দর্শন হচ্ছে পুনর্বণ্টন। যাদের আয় বেশি তাদের থেকে বেশি কর আদায় করা। যারা অবহেলিত বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের ওই করের টাকা ব্যয় করা। অর্থাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা। পুনর্বণ্টনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে বাজেটে সে বড় ধরনের পরিবর্তন দিতে পারেনি। অথচ জুলাই-আগস্টের পর আমাদের বড় আকাঙ্ক্ষা ছিল। এবারে ব্যতিক্রমী বাজেট হবে, আমরা দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান, ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা, বাসদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  

জেডএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।