ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০০ বিনিয়োগকারীসহ বাংলাদেশে আসছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী: বিডা চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৪৯, এপ্রিল ১০, ২০২৫
২০০ বিনিয়োগকারীসহ বাংলাদেশে আসছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী: বিডা চেয়ারম্যান

ঢাকা: বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, আগামী মাসে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও প্রায় ২০০ বিনিয়োগকারীসহ বাংলাদেশ সফরে আসছেন।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিন শেষে সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চীনের বাণিজ্যসচিব আমাকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি আগামী মাসে তাদের বাণিজ্যমন্ত্রীসহ প্রায় ২০০ বিনিয়োগকারী নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। তারা চান, আমরা যেন আজকের মতো সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ তথ্য জানাই। তাদের সাপোর্ট দিতে পারলে তারা দ্রুত বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, এই ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ সম্পর্কে এতদিন ধরে চলে আসা নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তন করে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যাওয়া।  

তিনি জানান, জার্মান টিমের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সদস্যই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছেন এবং তাদের কাছে বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগ আনার বিষয়ে আরও কী করা উচিত, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, এরইমধ্যে চীনের হানডা কোম্পানির সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।  

তিনি জানান, সম্মেলনে আসা ব্যবসায়ীরা মূলত শ্রমঘন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্প, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে তারা বিনিয়োগ করতে চান।

প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগের পরিকল্পনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নীতিগতভাবে আমরা মনে করি, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য মিলিটারিতে কিছু প্রযুক্তি হস্তান্তর করা প্রয়োজন। আমাদের ট্যাংক, স্পেসশিপ বা ফাইটার জেট বানানোর দরকার নেই। আমরা সীমিত আকারে অ্যাডভান্সড রেডিও, ট্যাংকের এক্সেল, ছোট বুলেট ও ছোট অস্ত্র ইত্যাদি তৈরি করতে পারি। এগুলোরও কিন্তু অনেক চাহিদা রয়েছে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, তারা সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছেন। তাদের একটি বড় উদ্যোগ হলো বিদেশ থেকে এমন বিনিয়োগকারী খুঁজে বের করা, যারা প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসতে রাজি হবেন।  

তিনি বলেন, আমরা তাদের কাছ থেকে কেনার প্রতিশ্রুতি দেব, পাশাপাশি তাদের রপ্তানি করার সুযোগ দেব। ইকোনোমিক জোনের মতো একটি মিলিটারি ইকোনমিক জোনের ধারণার অধীনে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হবে।

তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি মিলিটারি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করতে হলে নীতি, নিরাপত্তা নীতি, ডিজিটাল ডেটা নীতি, আইটি অধিকারসহ অনেক বিষয় সমাধান করতে হবে এবং এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
ইএসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।