ঢাকা, শনিবার, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৯ জুলাই ২০২৫, ২৩ মহররম ১৪৪৭

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জঙ্গি ঠেকাতে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে অভিন্ন সফটওয়্যার

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৯, জুন ৮, ২০১২

কলকাতা : জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী নাশকতা ঠেকাতে এবার সার্কভুক্ত ৮টি দেশে একটি অভিন্ন সফটওয়্যার চালু করা হচ্ছে। দেশগুলোর প্রতিটি বিমানবন্দর, স্থলবন্দর এবং বিভিন্ন চেকপোস্টে ব্যবহার করা হবে নতুন এ সফটওয়্যার।



ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সার্কের ৮টি দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও থাকবে অত্যাধুনিক সফটওয়্যারটি। আগামী আগস্ট মাস থেকে এটিকে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হবে।

এরপর সেপ্টেম্বর মাসে মালদ্বীপের মালেতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশা, সফটওয়্যারটি চালু হলে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে জঙ্গি তৎপরতা অনেকটাই প্রতিহত করা সম্ভব হবে।

সূত্রটি জানায়, ২০১১ সালে সার্কভুক্ত দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রতিটি দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠনদের নিয়ে একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। সে মোতাবেক এ সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু হয়।

গত ৩০ ও ৩১ মে দিল্লিতে সার্ক টেররিস্ট অফেন্সেস মনিটরিং ডেক্সের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সার্কভুক্ত প্রতিটি দেশের জঙ্গিদের নাম, ছবিসহ বিস্তরিত তথ্য থাকবে সফটওয়্যারটিতে। আসল মুখের ছবির সঙ্গে ছদ্মবেশ ধরলে সম্ভাব্য মুখ কেমন হতে পারে, তারও স্কেচ রাখা হবে। কোন কোন নাশকতার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তার পূর্ণ বিবরণ। তাছাড়া কোনো দেশের জঙ্গি সংগঠনের কোনো নাশকতামূলক পরিকল্পনার কথা জানামাত্রই, সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ দ্রুত যাতে সফটওয়্যারটিতে সংযুক্ত করা যায়, তার ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয় বৈঠকে।

ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ সফটওয়্যারটি চালু করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো নিজেদের মধ্যে বিশেষ চুক্তিতেও আবদ্ধ হয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, এতো দিন ধরে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয়ভাবে জঙ্গি সংগঠন ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করা হতো। এই প্রথম ৮টি দেশের মধ্যে এই ধরনের তথ্য বিনিময় হবে। এর ফলে কোনো দেশই আর নিজ দেশে জঙ্গি কায্যকলাপকে অস্বীকার করতে পারবে না। প্রধানত পাকিস্তান, নেপাল এবং ভূটানের ওপর পরোক্ষ চাপ সৃষ্টি করতে অন্য সার্কভুক্ত দেশগুলো এ উদ্যোগ নিয়েছে।

এই সফটওয়্যারের থাকা তথ্য যাতে কোনো ভাবেই হ্যাক না হতে পারে, তার জন্য প্রতিটি দেশে একটি করে পৃথক সেল গড়ে তোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় : ১২২৩ ঘণ্টা, জুন ০৮,২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।