চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক ভবনের নামফলক মুছে দিয়ে নতুন নাম দিয়েছে বামপন্থী শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায় ওই শিক্ষার্থীদের।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলনকারীরা ভবনটির নাম মুছে লিখে দেন— ‘নিয়োগ বাণিজ্যের জমিদার ভবন’।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক ধ্রুব বড়ুয়া, নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার, শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদর্শন চাকমা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে চবির সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কাননের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ ও প্রশাসনের জবাবদিহিতার দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমাদের গ্রাফিতি অঙ্কন ও দেওয়াল লিখন কর্মসূচি ছিল। আমরা জেনেছি আজ প্রশাসনিক ভবনে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। আবার একজন রাজনৈতিক নেতা নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিদার বলেছে। এজন্য প্রশাসনিক ভবনের নাম মুছে দিয়ে আমরা লিখেছি ‘নিয়োগ বাণিজ্যের জমিদার ভবন’।
চবি বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে আমাদের প্রতিবাদী গ্রাফিতি অঙ্কনের কর্মসূচি ছিল। নাম মুছে দিতে গেলে সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী এসে আপত্তি জানান। কিন্তু আমরা প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে নাম পরিবর্তন করেছি। যেদিন প্রশাসন তার সঠিক জায়গায় ফিরবে, সেদিন এ নাম আমরাই মুছে দেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলী বলেন, আমি জানতে পেরে তাদের কাছে গিয়েছিলাম। তারা বলেছে প্রশাসন তাদের কথা শোনেনি, তাই প্রতীকী প্রতিবাদ করছে। আমি কোনো জোর করিনি, শুধু অনুরোধ করেছিলাম না করতে। এখন এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা ন্যায়সঙ্গত মনে করবে, সেটাই করবে।
এমএ/টিসি