চট্টগ্রাম: চন্দনাইশে মারধরের পর ওষুধ খাইয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত্যুবরণকারী মুক্তা আক্তার (২৬) সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পলিয়ার পাড়া নদ্দিয়ার বাড়ি এলাকার মো. পারভেজ এর স্ত্রী।
রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
মুক্তা আক্তার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ হাশিমপুর গ্রামের ভাণ্ডারী পাড়ার নাছির উদ্দিনের কন্যা। ২০১৯ সালে সামাজিকভাবে মুক্তা ও পারভেজের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আড়াই বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
মুক্তা’র চাচাতো ভাই সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিয়ের কয়েক মাস পর পারভেজ ওমান চলে যায়। ৩ মাস আগে বিদেশ থেকে ফিরেছে। বর্তমানে মুক্তা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রবাসে সমস্যার কথা জানিয়ে পারভেজ মুক্তার বাবা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। সম্প্রতি আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় স্বামী-শাশুড়ি মিলে মুক্তাকে নির্যাতন করেছে। এরপর কিছু ট্যাবলেট খেতে দেয়। সেগুলো খাওয়ার পর সে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমরা দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠান। অ্যাম্বুলেন্সে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে রওশনহাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর পিতা নাছির উদ্দীন বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসি/টিসি