ঢাকা, সোমবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠ বেচাকেনা, তদন্তে দুদক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৬, আগস্ট ২৪, ২০২৫
সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠ বেচাকেনা, তদন্তে দুদক ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের জমি বেচাকেনার অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ে যায় দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলমের নেতৃত্বে আভিযানিক দল।

 

জানা গেছে, ১৪৭ বছরের পুরোনো ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ কাঠা জমির খেলার মাঠটি ২০০৬ সালে একটি পক্ষ মাত্র ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় ক্রয় করে। মাঠটি বিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরে।

এই মাঠে শিক্ষার্থীরা সারাবছর খেলাধুলা করে, অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এই মাঠ নিয়ে মামলা আদালতে বিচারাধীন। সম্প্রতি কতিপয় ব্যক্তি মাঠটি তাদের নামে নামজারির জন্য ভূমি অফিসে আবেদন করে।  

বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুমা আক্তার কণা বলেন, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের জমি নিয়ে মামলা চলছে। মামলা চলাকালীন নামজারি হবে না। তারা আগেও ৪ বার নামজারির জন্য আবেদন করেছিল। প্রতিবারই খারিজ করা হয়েছে। এবারও খারিজ হবে।

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তার বলেন, মাঠটি বর্তমানে স্কুলের ভোগ দখলে রয়েছে। আমরা প্রশাসনের সহায়তা পাচ্ছি। বিষয়টি সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক অবগত আছেন।

দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বাংলানিউজকে বলেন,  ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের জায়গা ক্রয়-বিক্রয়ে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করা হয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও যাবে আভিযানিক দল।  

প্রসঙ্গত, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রামের প্রাচীনতম প্রথম বালিকা বিদ্যালয়। প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষস্থানে থাকা এই বিদ্যালয়টি ২০২৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।