ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সবাই উৎসবমুখর নির্বাচন দেখতে চায়: ফারুক ই আজম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৬, আগস্ট ১৫, ২০২৫
সবাই উৎসবমুখর নির্বাচন দেখতে চায়: ফারুক ই আজম ...

চট্টগ্রাম: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন জীবন সায়াহ্নে। তাদের কোনো চাওয়া পাওয়া নেই, তাই কোনো বিভাজনও থাকতে পারে না।

জীবনের এ পর্যায়ে এসে সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শের জীবন তাদের গড়তে হবে যেন সন্তানেরা গর্ব করে জাতির সামনে তা তুলে ধরতে পারে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
 

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. ক. (অব.) মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন আহমেদ বীর উত্তমের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড এ সভার আয়োজন করে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে অনিবার্যভাবে নির্বাচন হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে প্রস্তুত। সবাই উৎসবমুখর নির্বাচন দেখতে চায়, ভোট দিয়ে দেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে, নিজের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব অনেক। তাদের জাতির স্বার্থে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখাতে হবে।  

তিনি বলেন, দীর্ঘসময় মানুষকে অধিকার না দেওয়া, বেঁধে রাখার চেষ্টা ও প্রবণতা ছিল। তবে এখন বাঁধ খুলেছে, সবদিকে কলরব উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। এটা অব্যাহত রাখতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।  

ইউনিট আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. তালুকদার মাহফুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত খান, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের রেক্টর ইমাম হাসান রেজা, ভাইস প্রিন্সিপাল ফিরোজ আহমেদ এবং পরিবারের পক্ষে ভাই ডা. ফরহাদ, ছেলে জাবেদ ও জাহেদুর রহমান, মেয়ে ইফফাত জাহান স্মৃতিচারণ করেন।

বক্তারা বলেন, লে. ক. জিয়া উদ্দিন আহমেদ ছিলেন তেজস্বী পুরুষ। নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ মানুষ ছিলেন তিনি। তবে যখনই মানুষের অধিকার ভূ-লুণ্ঠিত হয়েছে, যখন মানুষ শোষণ আর বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তখন কর্নেল জিয়াউদ্দিন প্রতিবাদ করেছেন। ব্যানার হাতে একা রাস্তায় নেমে পড়েছেন, কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাননি।  

তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন লে. ক. জিয়াউদ্দিন ৩টি সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন। তবে মানুষের মুক্তির আন্দোলন কখনোই তিনি ত্যাগ করেননি। তাই স্বাধীনতার পর মানুষের অধিকার ভূ-লুণ্ঠিত হতে দেখে তিনি আবারো প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন, নিবন্ধ লিখে চাকরি হারিয়েছেন। মরহুম জিয়া উদ্দিন যেভাবে পাকিস্তান সেনাঘাঁটি থেকে মেজর মঞ্জুর, মেজর তাহের ও মেজর পাটওয়ারীকে নিয়ে দেশমাতৃকার টানে ছুটে এসেছেন, বিভিন্ন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন তা পাঠ্যপুস্তকে থাকা উচিত।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।