চট্টগ্রাম: ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন পেয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নগরের চান্দগাঁও থানার চর রাঙ্গামাটিয়ার রুহুল আমিন নামে এক গ্রাহক। প্রতারক চক্র ওটিপি কোড সংগ্রহ করে ইবিএল স্কাই ব্যাংকিং অ্যাপস চালু করে তার অ্যাকাউন্ট থেকে পৌনে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ঘটনায় কথিত ব্যাংক কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম খানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে আদালতে।
সোমবার (১১ আগস্ট) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম জীনাত সুলতানার আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী রুহুল আমিন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সেলিম উল্লাহ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ইবিএল স্কাই ব্যাংকিং অ্যাপস চালু করে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে +৮৮৯৬৩৮-৬২৭৪২৪ নম্বর থেকে ফোন আসে রুহুল আমিনের স্ত্রীর মোবাইলে। অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে ইস্টার্ন ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখার কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম খান পরিচয় দেন। ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোনটি স্বামী রুহুল আমিনকে ধরিয়ে দেন। তখন প্রতারক জানান, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত হয়ে গেছে। এটি সচল করতে কিছু তথ্য দিতে হবে। পরে প্রতারক রুহুল আমিনকে হোয়াটসঅ্যাপে (০১৬১৩-৩১২৮১১ ও ০১৮১২-১৩২৮৩০) যুক্ত করেন। নানা কৌশলে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ভুক্তভোগীর ফোনে আসা ওটিপি ব্যবহার করে ইবিএল স্কাই ব্যাংকিং অ্যাপস চালু করেন। অ্যাপস চালুর পর প্রতারক প্রথমে বিকাশে ০১৮৩০-৩৪২৫০৫ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠান, পরে কার্ড থেকে বিকাশে অ্যাড মানি করে আরও ৫০ হাজার টাকা নেন। এরপর ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) মাধ্যমে ধাপে ধাপে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করেন। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের বার্তা পেয়ে রুহুল আমিন দ্রুত ব্যাংকে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করান।
এমআই/পিডি/টিসি