ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ক্বণনের ‘রাজপথে আঁকা কবিতায় দ্রোহের জলোচ্ছ্বাস’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:২০, আগস্ট ৪, ২০২৫
ক্বণনের ‘রাজপথে আঁকা কবিতায় দ্রোহের জলোচ্ছ্বাস’ ...

চট্টগ্রাম: তারুণ্যের আইডিয়ায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন মঞ্চায়ন করলো বৃন্দ আবৃত্তি প্রযোজনা ‘রাজপথে আঁকা কবিতায় দ্রোহের জলোচ্ছ্বাস’। এই প্রযোজনা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সবাক চিত্র যা সুরে, ছন্দে ও শব্দ ঝংকারে বাঙ্ময় হয়ে উঠেছিল।

উচ্চারিত কবিতাগুলোতে জুলাই বিপ্লবের চিত্র, বারুদের গন্ধ, বন্দুকের ঠাস ঠাস শব্দ, রক্তের লাল রঙে আঁকা রাজপথ উঠে এসেছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে জেলা পরিষদ চট্টগ্রামের নির্বাচিত ইউনিক আইডিয়া ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গনের প্রন্থনা, নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় মঞ্চায়িত হয় এ বৃন্দ প্রযোজনা।

 

ক্বণন সভাপতি, আবৃত্তি শিল্পের শিক্ষক মোসতাক খন্দকারের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে কথামালা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চট্টগ্রামের প্রশাসক মোহাম্মদ নূরুল্লাাহ নূরী। অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর মা মোসাম্মাৎ কোহিনূর আক্তার এবং জেলা পরিষদ চট্টগ্রামের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম।  

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সমন্বয়ক সাফায়েত হোসেন। ক্বণন সভাপতি মোসতাক খন্দকারের প্রন্থনা ও নির্দেশনায় মঞ্চায়িত বৃন্দপ্রযোজনায় অংশ নেন ক্বণনের আবৃত্তি শিল্পী শরীফ মাহমুদ, শুভ্রা চক্রবর্তী, সুস্মিতা চৌধুরী, ইব্রাহীম মাহমুদ, মুনয়িম আসরা, শাহ মো. রাইয়ান, হামিদ হোসেন, মেহজাবিন রুশনী, ওয়ারদাতুল জান্নাহ নওশিন, মেহজাবীনুর রশিদ সামিহা ও কানিজ ফাতেমা নূরী।  

চব্বিশের উত্তাল দিনগুলোতে কবিরা রাজপথের খোলা পৃষ্ঠায় যে কবিতা এঁকেছিলেন, রাজপথে আঁকা কবিতায় দ্রোহের যে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছিলেন ক্বণনের আবৃত্তি শিল্পীরা স্বর ও সুরের মূর্ছনায় তা জীবন্ত করে তোলেন। এই বৃন্দ প্রযোজনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর মায়ের কথামালা অন্তর্ভুক্ত করা ছিল সমগ্র পরিবেশনার অত্যন্ত মর্মস্পর্শী অংশ।
             
অতিথিরা বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা জানান দেয় যে, আমরা আমাদের অনেক জাতীয় গৌরবগাথাকে সাংস্কৃতিক চর্চায় ধারণ করতে পারিনি। প্রজন্ম পরম্পরায় সাংস্কৃতিক সেতুর মাধ্যমে এ দেশের বিশাল তারুণ্যের কাছে জাতীয় ইতিহাসের মণিমুক্তা পৌঁছে দিতে পারিনি। এর ফলে তারুণ্যের অনেক মহৎ অর্জন বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। ওই উপলব্ধি থেকে বলা যায় ক্বণনের এই প্রয়াস দারুণ প্রশংসনীয়। জুলাই বিপ্লবের জ্বলজ্বলে স্মৃতিকে এই বৃন্দ প্রযোজনায় ধারণ করা হয়েছে। যার ফলে কষ্টার্জিত বিজয়ের স্মৃতিগুলো মলিন হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।