চট্টগ্রাম: জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংশয় সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান যে পরিস্থিতি এখানে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন নিয়ে একটা সংশয় সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্যতম মুখ্য দায়িত্ব হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে ফেরত নেওয়া।
এটা দেশের জন্য বলেন, জনগণের জন্য বলেন, কারও জন্য ভালো হচ্ছে না। কারণ একটা অনির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় সফল হয়নি। যখন গণবিচ্ছিন্ন মানুষজন দেশ চালায় তখন তারা জনগণের মনের ভাষা বোঝে না। আপনি জনগণের মনের ভাষা বুঝতে গিয়ে ঢাকার আরবান সোসাইটির মতামতের ভিত্তিতে দেশ চালান তাহলে বড় ভুল হচ্ছে। ৭০ ভাগের বেশি মানুষ কিন্তু আরবানের বাইরে থাকে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকে।
বিচার বিশ্লেষণ করছি, উনারা একটা টার্গেটেড কমিউনিটি নিয়ে কাজটা করছেন। যারা ঢাকা কেন্দ্রিক আছেন মোস্টলি। হয়তো চট্টগ্রামের অল্প কিছু নিচ্ছে বা রাজশাহী থেকে কিছু নিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ভেরি ইনসিগনিফিকেন্ট। আমার বক্তব্য হচ্ছে রাজনীতিকরা নির্বাচন চাইবে এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ তারা চাইবে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার থাকুক। দ্বিতীয় হচ্ছে এ জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের কেন প্রয়োজনীয়তা। গত এক বছরে এক টাকারও বৈদেশিক বিনিয়োগ আসেনি। কোনো অনির্বাচিত সরকারের আমলে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসে না। চুক্তি হবে। লেটার অব ইনডেন্ট দেবে, ব্যবসা করতে চাই। ওরা অপেক্ষা করবে গণতান্ত্রিক বা সাংবিধানিক সরকারের জন্য। কারণ এখন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দিতে হবে। না হলে এগুলো অবৈধ থেকে যাবে। যখন বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না, দেশের কারখানা বন্ধ হচ্ছে। অলরেডি ৬৯টি বড় স্কেলের কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী বছর জুনে আরও ১১৯টি বন্ধ হবে। দেশে আবার যদি বেকারত্ব সৃষ্টি হয়, কর্মসংস্থান না হয়। এটা দেশের ইকোনমির জন্য মারাত্মক বিপর্যয় হবে।
আমাদের দলের পক্ষ থেকে একটা জরিপ করা হয়েছে, ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের মেয়াদকাল কত দিন থাকে। দেখা গেছে দুই বছরের কম মেয়াদে সাকসেসফুল হয়েছে। কিন্তু দুই বছরের উপরে যতগুলো হয়েছে প্রত্যেকটাই ফেল করেছে। দেশে এক বছর হয়ে গেছে। পুলিশ বুঝছে না কী করতে হবে, তারা নীরব। একদল লোক প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করছে। ম্যানিপুলেট করছে। এভাবে একটি দেশ সঠিক পথে চলতে পারে না।
বিএনপির নির্বাচন প্রস্তুতি প্রসঙ্গে মীর হেলাল বলেন, একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে সুসংগঠিত করার কাজ অলমোস্ট শেষের দিকে। একই সাথে আমরা জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রতিটি উপজেলায়, ইউনিয়নে জনসভা করছি, ওয়ার্ড পর্যায়ে উঠান বৈঠক করছি। যাতে রাষ্ট্র মেরামতে আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাব গণমানুষের কাছে তাদের ভাষায় পৌঁছে দিতে পারি। আমি যদি এমন ভাষায় বলি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বুঝলো না তাহলে তো বেনিফিট নেই। সাংগঠনিকভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে ৮০ শতাংশ হয়ে গেছে। আমি মনে করি, বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত অনেক আগে থেকেই আছে। কারণ দীর্ঘদিন তারা সাংগঠনিক ব্যবস্থার মধ্যে চলেছে। অত্যাচার নির্যাতন চলেছে। পাশাপাশি সমান্তরালভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছি।
জোরাজুরির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের দল কী প্রোগ্রাম নিয়ে আসছে মানুষকে জানাচ্ছি। অভূতপূর্ব রেসপন্স। হাটহাজারীতে তিনটি বড় বড় সমাবেশ করেছি। যাতে হাজার হাজার মহিলা উপস্থিত থাকেন। অনেক মুরুব্বিরা উপস্থিত থাকেন। তারা প্রশ্ন করেন। খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেন। তারা শুনতে চায়। তারা যে অন্ধের মতো ভোট দেবে এমন নয়। তারাও জানতে চায়। দেশ কোন দিকে যাবে। দেশে স্থিতিশীলতা আছে কিনা তারা জানতে চায়। নির্বাচনের জন্য বিএনপি রেডি। অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বিএনপির প্রস্তুতি বেশি।
সাম্প্রতিক নানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার স্থিতিশীলতা। এটা প্রতিনিয়ত বিনষ্ট হচ্ছে। একটা দেশের ব্যবসায়ীদের ও সাংবাদিক সমাজকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এটা কিন্তু রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে একটা বিশেষ গোষ্টী করছে। তাকে সাংবাদিক পরিচয়ে নয় অপরাধী হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে হবে জেনেরেলাইজ করা যাবে না। এটাতে ক্ষতি হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছে না। তারা বিনিয়োগ না করাতে বেকারত্ব বাড়ছে। অপরাধ বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কর্মসংস্থান যখন চলে যাবে অপরাধ বাড়বে। একটার সঙ্গে একটা সংযুক্ত।
আমাদের দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব জানেন, দেশের প্রাণ হচ্ছে অর্থনীতি। অর্থনীতি সচল রাখতে চট্টগ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। নির্দোষ কাউকে, অন্যায়ভাবে যাতে হয়রানি করা না হয়। ব্যবসায়ীদের কমফোর্ট দিতে হবে। পার্লামেন্ট যেহেতু নেই সমালোচনা করবে সাংবাদিক। সাংবাদিকদের মধ্যে দুই একজন অপরাধী থাকতে পারে। তার পরিচয় সাংবাদিক। দেখা যাচ্ছে অপরাধকে আমব্রেলার মতো ইউজ করে পুরো একটা গোষ্ঠীকে অবিচারের আওতায় নিয়ে আসছে।
আমরা মনে হয়, ফিলোসফি ডিসাইড করতে পারিনি। দেশে আইন আছে, আইনি প্রক্রিয়া আছে। সে অনুযায়ী অপরাধীর বিচার হবে। কিন্তু প্রহসনের বিচার তো করতে পারবেন না, যেটার জন্য আমরা সারা জীবন কমপ্লেইন করেছি। একেকজনের নামে ৫০-৬০টি মামলা। জানিও না কীসের মামলা। কোনো গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হচ্ছে। বউ বাচ্চা সবাইকে আসামি করা হচ্ছে। যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্তও না। কেউ মাত্র পাস করে বাবার ব্যবসায় জয়েন করেছে। বোঝা যাচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে গেছে। এটা দেশের জন্য সুখকর নয়। এর জন্য একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের অনেকের মিসকনসেপশন আছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে। এটা ক্লাস রুম না। এটার উদ্দেশ্য ছিল একটা কালচার ক্রিয়েট করা। সরকারের সঙ্গে ডায়লগ করবে। এখন দেখছি সরকারের সঙ্গে একমত না হলে তোমরা ভিলেন! আমার অভিমত হচ্ছে, রাজনীতিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে জাতীয় সংকট উত্তরণের জন্য সংলাপ চালু রাখা। আলোচনার পর ব্রিফিং যেভাবে করা হয়, সব টিক মার্ক দেয়নি তাহলে দোষী। কেউ যদি অ্যাগ্রি না করে, বললো আমি সাইন করবো না, আমি কমিশন মানি না তাহলে কী নির্বাচন হবে না! আমরা রাজনীতিতে অনেক অনভিজ্ঞ। এটাতে ক্ষতি হয়, দেশ ছেড়ে পালায়। কিন্তু দেশের যে ক্ষতি হয় এটা রিকভার করতে এক যুগ সময় লেগে যায়। জনগণের ট্যাক্সের টাকা বারবার অপচয় হচ্ছে। নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে রাস্তায় শোয়া যায় এত পরিষ্কার। এটা বাংলাদেশে পারবেন না। দুই দিন পর পর বৃষ্টি। গাছ থেকে অক্সিজেন না হইয়া কার্বন নিঃসরণ হয়। আপনি চাইলেই হবে না। দেশের জন্য যেটা খাটবে সেটা করতে হবে।
নির্বাচন হাজার বছর পেছালেও রেজাল্ট একই হবে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক প্যাটার্ন। একটি দল নিজের কৃতকর্মের জন্য পালাতে বাধ্য হয়েছে। সেই সব অপরাধীকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেটা দেশ ও জাতির জন্য কোনভাবেই মঙ্গল বয়ে আনবে না। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। রাজনীতি কিন্তু সমাজবিচ্ছিন্ন কোনো কাজ নয়। অবশ্যই একটা দর্শন নিয়ে কাজ করতে হবে। দিনমজুরের মতো কাজ করলে হবে না, দিন পার করলে হবে না। আপনার স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকতে হবে। বাংলাদেশি কনসেপ্টের চেয়ে অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন আর কেউ দিতে পারবে না। ভূখণ্ডের মধ্যে যে জনগোষ্ঠী আছে সবাই বাংলাদেশি। আপনি এক গোত্রের আমি আরেক গোত্রের। সবাইকে এক করতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান করে গেছেন। এখন অনেকে আছে ডিভাইড করার মধ্যে। আগে বলতাম দেশ দুইভাবে বিভক্ত বলতাম এখন দেখি বহুদা বিভক্ত।
৫ আগস্ট কিন্তু ৩৬ দিনের বিষয় না। এটা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের পুঞ্জীভূত বহিপ্রকাশ। বিএনপিসহ কিছু দল ১৭ বছর কনটিনিউ করেছে। জুলাইতে সবাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি, লড়াই করেছি। যখন নিরাপরাধ, নিষ্পাপ এবং রাজনৈতিক পরিচয়হীন ছেলে মারা গেছে তখন এ আন্দোলনে মানুষ যুক্ত হয়েছে। পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।
যারা বুঝছে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না তারা বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য ক্ষতি হচ্ছে। একটা দেশের অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধ্বংস করে দিয়ে আপনি দেশ নিয়ে আগাবেন, মানুষের কাছে যাবেন এটা চিন্তাও করতে পারেন না। শেখ হাসিনা জেনোসাইড করেছেন। এটার দায় নিতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান ছিলেন তাই হয়তো তিনি দেশ ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এখন যারা উনার পথে হাঁটছেন তাদের কিন্তু আগে পিছে কেউ নেই।
বাংলাদেশ খুবই শান্তিপ্রিয় জাতি। দেশ নিয়ে খেলাধুলা করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আমার ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা, চীন নিয়ে চিন্তা নেই। আমার চিন্তা দেশ নিয়ে। আমি সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক রাখব। পৃথিবীর যেকোনো দেশ হতে পারে। আমাদের নেতা বলেছেন, দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্যকোনো দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ। এটা ফিলোসফিক্যাল বক্তব্য। এটা ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়। সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে যেটাতে বাংলাদেশ লাভবান হবে। আমরা এভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।
সম্প্রতি ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির ওয়াকআউট প্রসঙ্গে মীর হেলাল বলেন, উনি বলেছেন যে পয়েন্টে আমি অ্যাগ্রি করি না সে পয়েন্টে আমি আলোচনা করবো না। ওই সেশন থেকে বেরিয়ে গেছি। পরের পয়েন্টে আমার আলোচনা আছে। এটা গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য। আপনার সব বিষয়ে একমত হবো না। আমাদের শেখার দরকার। আমার মতামতের সম্মান যেমন চাইছি তেমনি আরেকজনের মতামতকে সম্মান দিতে হবে।
আমি ভেবেছিলাম ঐকমত্য কমিশন করা হয়েছে এ ধারা ফেরত আনার জন্য। এখন যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেভাবে নয়। দেশটা গড়তে হবে। এককভাবে এটা সম্ভব নয়। কারও হাতে জাদুর কাঠি নেই একটা বাড়ি দেবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। দেশের ইকোনমির যে ক্ষতি হয়েছে, যে পরিমাণ লোন ডিফল্ট হয়েছে, যে পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এগুলো একদিনে কাভার করতে পারবেন না। দেশ পুনর্গঠন করতে হলে সবার সহযোগিতা দরকার। এ মুহূর্তে বিভাজন থেকে বের হয়ে ঐক্যের পথে ফেরত আসা দরকার। বিভাজনের রাজনীতি করলে দেশ এমন জায়গায় যাবে আমার, আপনার কারও জন্য সুখকর হবে না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংস্কারের পক্ষে নয় বা বিচারের পক্ষে নয় বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা নির্বাচনকে ধোঁয়াশার মধ্যে রাখার অপচেষ্টা। আমাদের দল প্রথমই ভিশন ২০-৩০ দিয়েছিল। আমি মিডিয়া সেলে কাজ করি। আমরা পুরো বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় বিভিন্ন শ্রেণি, মত ও পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে। সেগুলো সংকলন করে বিএনপি রিসার্চ টিমকে দিয়েছিল। উনারা সেখান থেকে ২৭ দফা লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এরপর আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি বসেছে। এরপর ওই ২৭ দফাকে রাষ্ট্র মেরামতের কাঠামোর ৩১ দফা হিসেবে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই। এখন যে দল ৫ আগস্ট হবে কি হবে না জানত না, কখন শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বেন সেটাও জানতো না, তার এক বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের পরিপূর্ণ ৩১ দফা দিয়েছে। যেটি বাংলাদেশের সব ধর্ম মতের মানুষের জন্য প্রযোজ্য এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা, আইটি, কৃষি, শিল্প খাতসহ পরিপূর্ণ ৩১ দফা দিয়েছিল ২০২৩ সালেই। এখনো আমরা প্রতিনিয়ত ৩১ দফাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ করে যাচ্ছি, উঠোন বৈঠক করছি। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে জনসভা করে মানুষকে সচেতন করছি। তাহলে বিএনপি এটা চায় না এটা ভ্রান্ত ধারণা। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯ দফা নিয়ে প্রথম শুরু করেছিলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০-৩০ নিয়ে এগিয়েছেন, আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়ে এটা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়াউর রহমান এবং উনার পরিবার সবসময় মানুষের কথা, দেশবাসীর কথা, বাংলাদেশের কথা ভেবেছেন। বাংলাদেশিদের ভাগ্য উন্নয়ন কীভাবে করা যায় সেটা নিয়ে উনারা কাজ করতে গিয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ধারা স্পেসিফিক পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম জাতির সামনে দিয়েছেন। এখন যারা বলছেন বিএনপি সংস্কারের অন্তরায় বা বিএনপি সংস্কার চায় না; ওই সব দলের কোনো প্রোগ্রাম আছে বলে অন্তত এখন পর্যন্ত আমার জানা নেই।
পিডি/টিসি