চট্টগ্রাম: লাল চন্দন, শ্বেত চন্দন আছে? চুঁইঝাল আছে? পোলাওপাতা হবে? আঁঠাছাড়া থাই কাঁঠাল দেখান! হাজার হাজার চারার মধ্যে পছন্দের গাছটি এভাবেই খোঁজ করছেন ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে লালদীঘি মাঠের বৃক্ষমেলায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
মেলা প্রাঙ্গণে বৃষ্টি, কাদা উপেক্ষা করে চারা কিনছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা। পরিকল্পিত বাগান, কৃষি খামার, নতুন ভিটে, পুকুরপাড়, পরিত্যক্ত জমি কিংবা রাস্তার ধারে লাগানোর উপযোগী ফলদ, বনজ, ভেষজ, ঔষধি গাছের চারা কিনছেন।
স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, গৃহিণীর আনাগোনাও ছিল বেশ। তারা ছাদবাগান, বারান্দা, ইনডোরের জন্য চারা কিনছেন। ছোট ছোট ফুল, ফল, পাতাবাহার, ক্যাকটাস পছন্দ তাদের। কেউ আসছেন স্রেফ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে।
প্রায় প্রতিটি স্টলে দেশি বিদেশি বাহারি ফুল, ফল ও শোভাবর্ধনকারী চারার মেলা। আম, কামরাঙা, লেবু, মাল্টা, সফেদা, জাম্বুরা, রামবুটান, আনার, আমড়া, আতা, ঝুলছে টবের গাছে।
মা বাবার দোয়া নার্সারির বিক্রয়কর্মী জানান, পছন্দের চারার খোঁজে নগর তো বটে, শহরতলীসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে মেলায় ভিড় করছেন বৃক্ষপ্রেমীরা। ফুল, ফল, ঔষধি গাছের বাইরে ক্যাকটাস, লাখ টাকার বনসাইও পাওয়া যাচ্ছে মেলায়।
রাউজানের নোয়াপাড়ায় খামারের জন্য চারা কিনতে আসেন মো. ওসমান গনি। তিনি বলেন, আমাদের কৃষি খামারে বিভিন্ন জাতের আম, জাম, মেহগনি, জাম্বুরা, মোসাম্বি, আঙুর গাছ আছে। আজ মেলা থেকে বিদেশি গাব, আমড়া, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা, আনার, বারোমাসি মাল্টা চারা কিনছি ২ হাজার ৪০০ টাকার। এখন গাছের চারা লাগানোর সময়। যদি বন্যায় না ডুবে তাহলে চারা দ্রুত মাথা তুলে দাঁড়িয়ে যাবে।
শুধু চারা নয়, বন বিভাগের বনায়ন মডেল, সংরক্ষিত পশু পাখি জীব জন্তু, বিভিন্ন মডেল, প্লাস্টিকের ছোট বড় টব, বাগান পরিচর্যার খুন্তি, কোদাল, নিড়ানিসহ বিভিন্ন উপকরণ, বাঁশ বেতের কুটির শিল্পসামগ্রী রয়েছে এবারের মেলায়। লাখ টাকার ক্যাকটাসও রয়েছে মেলায়।
বন বিভাগের ফরেস্টার রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজে জানান, ৩৫টি স্টল আছে। ফলদ, বনজ, ভেষজ, শোভাবর্ধনকারী চারার কদর বেশি। ছাদবাগানে টব, জিও ব্যাগে লাগানোর উপযোগী চারা কিনছেন শহরের মানুষ। অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবার মেলা বেশি জমজমাট। ১১ আগস্ট পর্যন্ত মেলা চলবে।
এআর/টিসি