চট্টগ্রাম: মোবাইল ফোন সেটের আইএমইআই পাল্টে এবং মেরামত করে নতুন করে প্যাকেটে ভরে অধিক দামে দেশের বিভিন্ন জেলাসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মায়ানমার, নেপাল ও ভারতে পাঠিয়ে দিতো একটি চক্র।
সিএমপি’র ডিবি (পশ্চিম) এর বিশেষ অভিযানে চুরি ও ছিনতাই হওয়া ৩৪২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, ৬টি ল্যাপটপ এবং নগদ দুই লাখ টাকাসহ চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এ তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
গত ১০ জুলাই রাতে মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) পুলিশ কোতোয়ালী থানাধীন নন্দনকানন ৩ নম্বর গলি হরিশদত্ত লেইনে রশিদ মঞ্জিলে এ অভিযান চালায়। সেখানে সোহেলের ভাড়া করা বাসায় ২টি কক্ষে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরচক্রের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় বাকলিয়ার মো. তানভির হাসনাইন (৩২), লোহাগাড়ার মো. সোহেল উদ্দিন (৩২) ও মো. মোহাম্মদ হোসাইন (২২), নোয়াখালীর মো. রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩৬), সাতকানিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭)-কে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি ও ছিনতাইয়ের মোবাইল এবং মালামালগুলো অধিক দামে বিভিন্ন জেলা সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মায়ারমার, নেপালে ও ভারতে পাঠিয়ে দেয়। জামিনে বের হয়ে পুনরায় তারা একই অপরাধের জড়িয়ে পড়ছে।
মো. তানভির হাসনাইন (৩২) ও মো. সোহেল উদ্দিনের (৩২) বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানা সহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে ৪টি মামলা এবং মো. রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩৬) এর বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, এসব মোবাইল ফোন সেটের আইএমইআই পাল্টে এবং মেরামত করে নতুন করে প্যাকেট করা হতো। পরে সেগুলো বিভিন্ন জেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হতো। চুরি-ছিনতাইয়ের এসব মোবাইল ফোন সেট চলে যায় মিয়ানমার, ভারত ও নেপালে।
তিনি আরও বলেন, এই চক্র ভিড়ের মধ্যে বা জনসমাগমস্থলে বেশি সক্রিয় থাকে। কখনো কখনো তারা যাত্রীবেশে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়েও এই কাজ করে থাকে। এছাড়া তারা বিভিন্ন উৎসব বা অনুষ্ঠানেও এই ধরনের অপরাধ বেশি করে থাকে। পকেটমার বা ছিনতাইয়ের সময় কখনো কখনো হিংসাত্মক আচরণ করে এবং ভিকটিমকে মারধর করে।
এসি/টিসি