ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ক্রিকেট

প্রস্তুতি ম্যাচেও রাখা হয়েছে টিকিট সিস্টেম

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৩, আগস্ট ৭, ২০১৬
প্রস্তুতি ম্যাচেও রাখা হয়েছে টিকিট সিস্টেম

ঢাকা: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের। টাইগারদের বিপক্ষে তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ও দু’টি টেস্ট ম্যাচে অংশ নেবে ইংলিশরা।

পূর্ণাঙ্গ এই সিরিজে রয়েছে সফরকারীদের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা।

রোববার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জানানো হয়, প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর জন্য দর্শকদের টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে।

মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মূল ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক দীল মোহাম্মদ, স্বরাষ্ট্র, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বিটিআরসিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

০২ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে সফরকারীরা। দুই টেস্টের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে ৭ অক্টোবর, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। তাই ওয়ানডের আগে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রায় এক সপ্তাহ সময় পাচ্ছে অতিথিরা। তবে, ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে সফরকারীদের এক দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে সুযোগ করে দিয়েছে বিসিবি। ০৪ অক্টোবর সেই ম্যাচটি হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে দর্শকদের খেলা দেখার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হবে। আর এই ম্যাচের সম্ভাব্য ভেন্যু ধরা হয়েছে ফতুল্লা।

০৯ অক্টোবর মিরপুরেই হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। মিরপুরে প্রথম দুটি দিবা রাত্রির ওয়ানডে ম্যাচে মাশরাফিদের মোকাবেলা করবে ইয়ন মর্গান বাহিনী। আর ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর।

ওয়ানডে শেষে ১৪ থেকে ১৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিন করে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরেজের প্রথম টেস্টে টাইগারদের মুখোমুখি হবে ইংলিশরা।

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৮ অক্টোবর থেকে ০১ নভেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।

২০০৩ সালের পর সাত বছর বিরতি দিয়ে ২০১০ সালে ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশে এসেছিল। একই বছর ইংল্যান্ড সফরে যায় টাইগাররা। এরপর আর বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট খেলেনি ইংলিশরা। এর মাঝে দুই দল ওয়ানডে খেলেছে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে। দুই বিশ্বকাপেই গ্রুপপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ইংলিশরা। বিস্ট্রলে নিজেদের মাটিতেও একবার টাইগারদের কাছে হেরেছিল ইংলিশরা।

তাই এবারের সিরিজটি হাইভোল্টেজ সিরিজ হিসেবেই ধরা হচ্ছে। উপচে পড়া দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি ম্যাচেও টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে সফরকারী দলগুলো সাধারণত একটি এক দিনের ও একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। তবে ইংল্যান্ড একটি তিন দিনের ম্যাচের বদলে পাচ্ছে দুটি দুই দিনের ম্যাচ।

ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে বাংলাদেশও বরাবরই পেয়েছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ওই সুযোগ। ২০০৫ ও ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে ৩টি তিন দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ; ওয়ানডে সিরিজের আগে পেয়েছিল দুটি গা গরমের ম্যাচ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ০৭ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।