ক্রিকেটে অসাধারণ অবদানের জন্য ভারতের কয়েকজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার পেয়েছেন ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সম্মানজনক পদমর্যাদা। সাম্প্রতিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ দেশপ্রেমের বার্তা ছড়িয়ে পড়ার পর; গৌতম গম্ভীর, শচীন টেন্ডুলকার, হরভজন সিং ও সুরেশ রায়নাদের মতো তারকারা সেনাবাহিনীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
এ উপলক্ষে ফিরে দেখা যাক, সেই পাঁচ ক্রিকেটারকে, যারা সেনাবাহিনীতে পেয়েছেন অনারারি (সম্মানসূচক) সামরিক পদমর্যাদা:
শচীন টেন্ডুলকার – গ্রুপ ক্যাপ্টেন (ভারতীয় বিমানবাহিনী)
২০১০ সালে শচীন টেন্ডুলকারকে ভারতীয় বায়ুসেনা (বিমানবাহিনী) গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে সম্মানিত করে। তিনি ছিলেন প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি উড়ানবিষয়ক পটভূমি ছাড়াই এই সম্মান লাভ করেন। ক্রিকেটে তার অসামান্য কৃতিত্ব ও তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই সম্মান দেওয়া হয়।
এম. এস. ধোনি – লেফটেন্যান্ট কর্নেল (টেরিটোরিয়াল আর্মি)
২০১১ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে ১০৬ প্যারা টেরিটোরিয়াল ব্যাটালিয়নে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে ভূষিত করা হয়। ২০১৯ সালে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে নিজের ইউনিটের সঙ্গে থেকে প্যাট্রোলিং ও গার্ড ডিউটি পালন করেছিলেন।
কপিল দেব – লেফটেন্যান্ট কর্নেল (টেরিটোরিয়াল আর্মি)
ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব ২০০৮ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টেরিটোরিয়াল আর্মিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে সম্মানিত হন। তার নেতৃত্ব, খেলোয়াড়িত্ব ও জাতীয়তাবোধের জন্য তাকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়।
সি. কে. নাইডু – কর্নেল (হোলকার রাজ্য বাহিনী)
ভারতের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক সি. কে. নাইডু ১৯২৩ সালে হোলকার রাজ্যের শাসকের পক্ষ থেকে ‘কর্নেল’ উপাধি পান। ১৯৩২ সালে ভারতের প্রথম টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ছিল প্রায় ৫০ বছর দীর্ঘ।
হেমু অধিকারী – লেফটেন্যান্ট কর্নেল (ভারতীয় সেনা)
সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ও যুদ্ধকালীন সেনা কর্মকর্তা হেমু অধিকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন। ক্রিকেট ও সামরিক জীবনের পাশাপাশি তিনি ভারতের ঐতিহাসিক ১৯৭১ সালের ইংল্যান্ড সফরের সময় দলের মেন্টর হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এমএইচএম