ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

হাওর-বিলের সুস্বাদু বিপন্ন মাছ ‘পারা পুঁটি’ 

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৬, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
হাওর-বিলের সুস্বাদু বিপন্ন মাছ ‘পারা পুঁটি’  হাওরের বিপন্ন প্রজাতির মাছ ‘পারা পুঁটি’। ছবি: শ্রীমঙ্গল মৎস্য অফিস

মৌলভীবাজার: সুস্বাদু পুঁটি মাছের আরেকটি প্রজাতি ‘পারা পুঁটি’ বা ‘কড়ে পুঁটি’। হাওর-বিলের এক সময় এ মাছটি প্রচুর দেখা গেলেও বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। জেলেদের জালে এখন আর উঠে আসে না এই ক্ষুদ্রকার মাছটি। 

দেশি প্রজাতির অন্য মাছগুলোর মতো এটিও বিলুপ্তির তালিকায় উঠে এসেছে ‘পারা পুঁটি’। এর বৈজ্ঞানিক নাম Puntius parrah

 
 
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী এ মাছটি প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, এটি পুঁটি প্রজাতির মাছ। পুঁটি মাছকে শুধু একটি বিশেষ মাছ দিয়ে শনাক্ত করা হয়– তা কিন্তু নয়। যেমন ধরুন- পুঁটির মধ্যে রয়েছে সরপুঁটি, জাতপুঁটি, চোলাপুঁটি প্রভৃতি মাছ।  

তিনি আরও বলেন, পারা পুঁটির বিশেষত হলো- এরা মিঠাপানির মাছ। এই মাছটি আমাদের সিলেট অঞ্চলের হাওর-বিলগুলোতে এক সময় পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সিলেট অঞ্চল ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার হাওর-বিলে পাওয়া যায়। তবে প্রাপ্ততা কম।  

দেশি মাছের সংকট সম্পর্কে এ কর্মকর্তা বলেন, এখন আর প্রাকৃতিক জলাভূমি নেই। বিগত দশ-পনের বছর আগেও আমাদের প্রাকৃতিক জলাভূমি যে মাছগুলো পাওয়া যেত এখন তার দেখাই পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো নানা কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের প্রজনন দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে বলে জানান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী।  

প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এই ‘পারা পুটি’র দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার। এরা আকারে ছোট এবং চ্যাপ্টা ধরনের হয় বলে জানান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯ 
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।