ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

বাজেট

আড়াই হাজার কিমি রেল ট্র্যাক বসানোর প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৬, জুন ১১, ২০২০
আড়াই হাজার কিমি রেল ট্র্যাক বসানোর প্রস্তাব

ঢাকা: জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ট্রেন যোগাযোগকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার রেল ট্র্যাক বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করে এ প্রস্তাব রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মহামারি করোনা ভাইরাস সঙ্কটময় পরিস্থিতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তায় রেখে এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে ৯০০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল রেল ট্র্যাক নির্মাণ, ১ হাজার ৫৮১ কিলোমিটার নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ, ১ হাজার ৫২৭ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক পুনর্বাসন এবং ২২২টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়ন করা হবে।

‘এছাড়া কুমিল্লা/লাকসাম হয়ে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডাবল ট্র্যাক দ্রুতগতির রেল লাইন নির্মাণ, ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) হতে বরিশাল হয়ে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত এবং সাতক্ষীরা হতে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং ঢাকা শহরের চারদিকে বৃত্তাকার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, স্বল্প খরচে ও নিরাপদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেলওয়ের জনবান্ধব ভূমিকা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।

২০১৬-২০৪৫ মেয়াদে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার গৃহীত ৩০ বছরব্যাপী ‘রেলওয়ে মহাপরিকল্পনা’ বাস্তবায়নে কাজ শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেলপথ সম্প্রসারণ, নতুন রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কার, রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরকরণ, নতুন ও বন্ধ রেল স্টেশন চালু করা, নতুন ট্রেন চালু ও ট্রেনের সার্ভিস বৃদ্ধি করা, ট্রেনের কোচ সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ অব্যাহত রয়েছে।

চলতি অর্থবছরে ২৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ২৫ কিলোমিটার পুরাতন লাইন ‍পুনঃনির্মাণ, ৩০টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ, ১৪টি রেলসেতু পুনঃনির্মাণ, ১৩৬টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ, ৬টি নতুন ট্রেন চালুকরণ (বেনাপোল এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস) এবং ৪টি বিদ্যমান ট্রেন সার্ভিস বর্ধিতকরণ (রাজবাড়ি এক্সপ্রেস ও ‘ঢালারচর’ এক্সপ্রেস সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ঢাকা হতে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এমইউএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।