যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরল অর্থনীতিতে। কিছু বাড়তি সুবিধাও পেল বাংলাদেশ।
গত এপ্রিল মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল। এতে দেশের অর্থনীতিতে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিযোগী কয়েকটি দেশের ওপর কম শুল্ক আরোপ করায় সংকট আরও ঘনীভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত শুল্ক হার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। একই সময়ে মার্কিন বাজারে চীনের ওপর ৩০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ, ভারতের ২৫ শতাংশ, আর পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক পুনর্নির্ধারিত হয়েছে। ফলে বাড়তি শুল্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশ এপ্রিলের আগের তুলনামূলক স্বস্তিকর অবস্থানে ফিরেছে। এমনকি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের তুলনায় বাংলাদেশের ওপর শুল্ক কম থাকায় কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাও সৃষ্টি হয়েছে।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক শোভন ইসলাম বলছিলেন, গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যে বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসানোর ফলে আমাদের নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীসহ অন্যান্য উদীয়মান তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশের পণ্যে কম শুল্ক আরোপ হয়েছিল। এমনটা থাকলে বাংলাদেশ সক্ষমতা হারাতো। অন্যদিকে এসব দেশ বাড়তি সুবিধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের স্থান শক্ত করে নিতে পারতো। আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার ফলে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখন মোট কার্যকর শুল্ক প্রায় ৩৬ শতাংশ। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আগের শুল্ক ছাড়াও ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ, পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, ও ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ। এসব দেশের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে এই শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিকে কিছুটা সুবিন্যস্ত করেছে। তবে আমাদের ডিজাইন ইনোভেশন, উৎপাদন দক্ষতা, শিল্পায়ন এবং পণ্যে বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বাড়াতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক বৃদ্ধি: বাংলাদেশের জন্য কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। প্রতি বছর দেশটি গড়ে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে। এই বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। এরপর ২০২০ সালে এই রপ্তানি কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ২ বিলিয়নে। তবে ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে রপ্তানি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে এবং ২০২৩ সালে পুনরায় নেমে আসে ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে।
একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। দেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে থাকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মে ১১ মাসে ৩৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। গত কয়েক দশকে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯০ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৭ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৭ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাকি ১০ শতাংশ এসেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক সামগ্রী ও বিভিন্ন কৃষিপণ্য থেকে।
ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানি হঠাৎ ব্যাহত হলে এর প্রভাব পড়ে পুরো অর্থনীতিতে—রপ্তানি আয় কমে যায়, কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়ে, আর্থিক খাতে চাপ বাড়ে এবং সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য গুরুতর সংকট তৈরি করে। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর শুল্ক তুলনামূলক কম হারে বাড়ানো হয়েছিল। বাংলাদেশকে যদি ৩০ শতাংশও শুল্ক দিতে হতো, তবে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।
এই সংকট নিরসনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে নিট তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ফজলুর হক বাংলানিউজকে বলেন, ২০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ফলে আমাদের রপ্তানিকারকদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হলো। এজন্য স্বস্তি জায়গা তৈরি হলো, আগের শুল্কের পাশাপাশি আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক সবার কাছাকাছি হয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম শুল্ক আরোপের সময় আমরা পিছিয়ে ছিলাম। এখন আমরা একটি প্রতিযোগিতা করার মতো অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এপ্রিলের আগে আমরা যে জায়গাতে ছিলাম, আবার সেই জায়গাতে ফেরত গেলাম। আবার ভারতের মতো উদীয়মান প্রতিযোগী দেশ আমাদের চেয়ে একটু পিছিয়ে আছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা ট্রাম্পের আগের অবস্থার চেয়ে একটু ভালো অবস্থায় পৌঁছে গেলাম।
বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আদায় করা একটি কৌশলগত বিজয়, যা পাকিস্তান (১৯ শতাংশ), ভিয়েতনাম (২০ শতাংশ), ভারত (২৫ শতাংশ) এবং চীন (৩০ শতাংশ) থেকে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে এসেছে বলে মনে করেন এসএমসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেসের পরিচালক স্নেহাশীষ বড়ুয়া।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চীন থেকে পণ্য সংগ্রহের প্রবণতা কমে আসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের, নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই সাফল্যে আত্মতুষ্ট হওয়া ঠিক হবে না।
বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশের দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের মান উন্নয়ন এবং মূল্য সংযোজনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এর সঙ্গে ক্রেতাদের সঙ্গে নিয়মিত নতুন আলোচনার পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম বাজারে সম্প্রসারণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ তৈরি করাও জরুরি।
চীনের উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও টিকে থাকা এবং উন্নতি করার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে, মন্তব্য করেন স্নেহাশীষ বড়ুয়া।
নতুন শুল্কের পাশাপাশি পুরাতন শুল্কও থাকবে
প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে আগে থেকেই বিভিন্ন হারে শুল্ক ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকেও শুল্ক দিতে হতো। এপ্রিলের আগে পণ্যভিত্তিক গড় শুল্ক ছিল ১৫ থেকে ১৬ শতাংশের মতো। ১ আগস্ট থেকে আগের শুল্কের সাথে বাড়তি ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত হলো।
সেই হিসাবে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে থেকে ৩৫ শতাংশের মতো শুল্ক গুনতে হবে। একইভাবে চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আগের শুল্কের পাশাপাশি নতুন করে আরোপিত শুল্ক কার্যকর হবে।
এপ্রিলে বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে তা ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। তখন ভিয়েতনামের শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়। আর এতেই সংকট তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনাম।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ২০ শতাংশ কার্যকর হওয়ার ফলে পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে এলো। এখন উৎপাদনশীলতার পাশাপাশি নিজেদের খরচ কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
নতুন করে যে সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের
যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক শুল্ক খেলার ফলে বাংলাদেশের সুবিধাও দেখছেন রপ্তানিকারকরা। প্রথমে চীনের বাড়তি শুল্কের ফলে ক্রেতারা বাংলাদেশের মতো কম শুল্কের দিকে যাবে, অতীতেও এসেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুবিধা হবে বলে মনে করেন ফজলুল হক।
তিনি বলেন, আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাড়াতে হবে, সরকারি পর্যায়ে পলিসি সাপোর্টের জায়গা থেকেও সরকারের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে হবে, পোর্টের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সামগ্রিক প্রক্রিয়ার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
শুল্ক ২০ শতাংশে স্থির হওয়ার কারণে সম্ভাবনা দ্বারও খুলল বলে মনে করেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক শোভন ইসলাম। তিনি বলেন, সঠিক পরিবেশ ও অব্যাহত উদ্ভাবনের মাধ্যমে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প শুধুমাত্র বর্তমান শুল্কের চাপ কাটিয়ে উঠবে না, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বাজারে তার শেয়ার বাড়াবে।
তিনি বলেন, আমরা মার্কিন ক্রেতাদের সঙ্গে এই অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছি, বিশেষ করে ৩১ জুলাই থেকে বন্ধ থাকা শিপমেন্টের জন্য। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক স্থির না করলে বায়ারদের বেশি সুবিধা দিতে হতো। তারা ভয় দেখাতো বেশি ডিসকাউন্ট না দিলে অন্য দেশে চলে যাবে। যেহেতু অন্য দেশেও আমাদের মত শুল্ক আরোপিত হয়েছে। এখন তারা দরকষাকষির সুযোগ হারাবে। অন্যদিকে আমাদের সুবিধা হবে।
সংকট থেকে উত্তরণের পথ
বাংলাদেশে যখনই কোনো সংকট তৈরি হয়েছে, তখন নতুন পথ তৈরি হয়েছে। করোনা, শিশু শ্রম প্রশ্নে সংকটে কিংবা কোটা উঠে গিয়ে মুক্তবাজার ব্যবস্থা মোকাবিলা— যখনই সংকট তৈরি হয়েছে তখনই নতুন নতুন পথ তৈরি হয়েছে।
ফজলুর বলেন, এবার যে ধাক্কা তৈরি পোশাক শিল্পে লাগার উপক্রম হয়েছিল, তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে হবে। সরকার প্রথমে সব কাজ একাই করতে চেয়েছিল। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। কিন্তু এটা করার দরকার ছিল। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করলেই ভাল হতো, এমন নয়, কিন্তু সবাইকে নিয়ে কাজটি করা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে শোভন ইসলাম বলেন, আমরা এখনও বলছি এ ধরনের সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ খাত নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, একসঙ্গে করলে আমরা সেই কাজটি সুচারুভাবে করতে পারব।
উৎপাদনশীলতা বাড়ানোয় মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তি শুল্কের ঝুঁকি থেকে বাংলাদেশ কীভাবে সাবধান হতে পারে—সে পথ দেখাচ্ছে চীনের উদাহরণ। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরও চীন রপ্তানি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তারা প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে এবং বাজারে নিজেদের অবস্থান মজবুত রেখেছে।
বাংলাদেশকেও উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন, যেখানে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে উদ্যোক্তারা মনে করেন, শুধু শুল্ক কমানোয় শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে না। এ জন্য সরকারের সমর্থন প্রয়োজন—বিশেষ করে গ্যাস ও বিদ্যুতের স্বল্পতা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, দুর্নীতি, বন্দর জটিলতা, ব্যাংকিং খাতের সমস্যা এবং নীতিগত বাধা দূর করতে হবে।
জেডএ/আরএইচ